নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সার্ভেয়ারকে সম্প্রতি চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘কিছু বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। দুদক কিংবা অন্য একটি আদালত যেভাবে কাজ করে, ডিপার্টমেন্টাল কাজ কিন্তু সেভাবে না।’
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা বলেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের সময় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় পরস্পর যোগসাজশে জাল দলিল তৈরি করে ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সাবেক সার্ভেয়ার মাইনুল হাসানের বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ওই জালিয়াতিতে সহায়তার জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে গত বছরের নভেম্বরে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তাঁর আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে চলতি বছরের ৯ জুন তাঁকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।
এ বিষয়েই মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বিভাগীয় কর্মপদ্ধতির কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে তদন্তে দুর্নীতি হিসেবে সাব্যস্ত হলে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া মানতে হচ্ছে। তাঁকে বরখাস্ত কিংবা চাকরিতে রেখে তাঁর বিরুদ্ধে ডিপি চালু করি। তাঁকে চাকরিতে রেখেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির পরেও বরখাস্ত কেন করা হয়নি, সেটা হয়তো সেই কর্তৃপক্ষ জবাব দিতে পারবে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রক্রিয়া চলমান কি না।’
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, মাদারীপুরের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি’ নামের একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠান করতে চায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামের বিষয়ে ‘না’ বলেছেন। নাম বদলে হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি। এ লক্ষ্যে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি, আইন ২০২৪’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।