রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী (স্ক্রাইন) খাল দূষণ ও দখল থেকে রক্ষায় ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিএস জরিপ অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ ও দখলদারদের উচ্ছেদ করে খালটি পুনরুদ্ধারপূর্বক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
রুল জারির পাশাপাশি খালের মূল প্রবাহ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ, দখলদার উচ্ছেদ, দূষণের উৎস চিহ্নিতকরণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও খাল পুনরুদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রংপুরের জেলা প্রশাসক, রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, রংপুর পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান। আইনজীবী হাসানুল বান্না আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।