নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আরও ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর আট মামলায় ৪৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডের এবং গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
দুপুরের দিকে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে একটি মামলার রিমান্ডে শেষে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন থানায় করা ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয় এবং এর মধ্যে আটটি মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত আটটি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে মোট ৪৩ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। তার আগে ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রত্যেক মামলায় রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। আইনজীবী আদালতকে বলেন, এর আগে বিভিন্ন মামলায় মামুনকে ১৮ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ডে কোনো অগ্রগতি নেই। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মিথ্যাভাবে হয়রানি করার জন্য তাকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের আবেদন করা হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী থানার সাতটি হত্যা মামলায় ও নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় প্রথমে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ও পরে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ হয়। অন্য থানার পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার শাকিব হাসান হত্যা মামলায় ৭ দিন, ইমন হোসেন গাজী হত্যা মামলায় ৭ দিন, ইরফান ভূইয়া হত্যা মামলায় ৫ দিন, মুনতাসির রহমান হত্যা মামলায় ৫ দিন, সুজন হত্যা মামলায় ৫ দিন, মাহমুদুল হাসান জয় হত্যা মামলায় ৫ দিন ও রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৪ দিন এবং নিউমার্কেট থানায় করা তাহির জামান হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা প্রত্যেক মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করা হয়। পর দিন মোহাম্মদপুর থানার আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে দেওয়া হয়। তাকে পর্যায়ক্রমে ১৮টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নতুন করে ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ফলে তাঁকে মোট ৩১টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো।