নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতীয় ঋণ সহায়তা চুক্তির (এলওসি) আওতায় বিআরটিসির জন্য ৩০০টি বৈদ্যুতিক দ্বিতল এসি বাস সংগ্রহের বিষয়ে আজ রোববার দেশটির উপহাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় মন্ত্রী এ বছরের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য প্রাথমিকভাবে ১০০টি বৈদ্যুতিক বাস সরবরাহ করার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেন।
রাজধানীর সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় বলে মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যে সরকার ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে। চলতি মাসের মধ্যেই নীতিমালাটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হতে পারে।
২০১৫ সালের জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে ২০০ কোটি ডলারের সমঝোতা চুক্তি হয়, যা দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) নামে পরিচিত। ভারতের এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক বা এক্সিম ব্যাংক এ ঋণ দেবে। এর আগেও ভারতের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চুক্তির অর্থ ব্যবহারের শর্ত কিছুটা নমনীয় ছিল। তাতে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে ৬৫ শতাংশ এবং অন্য প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ কেনাকাটা ভারত থেকে করার শর্ত ছিল।
পরবর্তীতে ভারতের ঋণের এই অর্থ দিয়ে ১৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে সরকার। প্রকল্পগুলো হলো— রেল যোগাযোগ খাতের পার্বতীপুর-কাউনিয়া পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথকে দ্বৈত গেজে রূপান্তর; খুলনা-দর্শনা দ্বিমুখী রেলপথ নির্মাণ; সৈয়দপুর রেল কারখানা উন্নয়ন; বিদ্যুৎ খাতের বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন নির্মাণ; পরিবহন খাতের বিআরটিসির ৫০০ ট্রাক কেনা; ৫০০ বাস (৩০০ দ্বিতল ও ২০০ আর্টিকুলেটেড) কেনা; সড়ক ও জনপদ বিভাগের জন্য যন্ত্রপাতি কেনা; চারটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপন; ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন; আশুগঞ্জ নৌ কনটেইনার বন্দর স্থাপন ও আশুগঞ্জ নৌবন্দর-আখাউড়া স্থলবন্দর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এ তালিকায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আরও দুটি প্রকল্প রয়েছে।