Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

ছায়ানটে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত সন্‌জীদা খাতুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ছায়ানটে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত সন্‌জীদা খাতুন
আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ নেওয়া হয় ছায়ানটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ছায়ানটে দীপশিখা সন্‌জীদা খাতুন। নিজের সেই প্রাঙ্গণে আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নেওয়া হয় তাঁর নিথর দেহ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকেই তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে ছায়ানটে হাজির হতে থাকেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। সেখানে অশ্রুসিক্ত চোকে তাঁকে ফুলেল শ্রদ্ধা তাঁরা।

সন্‌জীদা খাতুনকে শেষবারের মতো দেখতে সকাল থেকেই ছায়ানট ভবনে আসতে শুরু করেন সঙ্গীতপ্রেমীসহ নানা অঙ্গনের মানুষ। এ সময় রবীন্দ্র সংগীত ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে উঠে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ রাখার বেদি। একে একে প্রত্যেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পাশাপাশি চলতে থাকে সংগীত পরিবেশন।

ছায়ানটের সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন সন্‌জীদা খাতুন। এই সমাজে যা ঘটছে, যে অরাজকতা চলছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতেন। সব সময় বলতেন, আমরা যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছি, তা কি পারছি। দেশের অরাজকতা নিয়ে তিনি সব সময় দুশ্চিন্তা করতেন। এ কথা সত্যি-একটা যুগের অবসান হলো।

নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমাদের সময়ে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে উজ্জ্বল মানুষ ছিলেন সন্‌জীদা খাতুন। তিনি সব সময় তাঁর আদর্শে অটুট ছিলেন। বিন্দুমাত্র আপস তিনি করেননি।

প্রাবন্ধিক মফিদুল হক বলেন, গানের মধ্যেই তিনি জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছেন। তিনি বাঙালি সংস্কৃতির মূর্ত প্রতীক। বাঙালি জাতির গর্ব। তিনি এটা অর্জন করেছেন। তিনি নিজের দিকে তাকাননি। বাঙালি সংস্কৃতির জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। বাংলা সংস্কৃতিতে একজন প্রধান ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন।

আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ নেওয়া হয় ছায়ানটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ নেওয়া হয় ছায়ানটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে আরও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা, শিবলি মহম্মদ, শামীম আরা নীপা, মিনু হক, চন্দনা মজুমদার, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, নায়লা আজাদ নুপুর, ম হামিদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, মফিদুল হক, চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম, অদিতি মহসিন, ঝুনা চৌধুরী, প্রমুখ।

জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়, কহন বাচিক, সুরের ধারা, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, বাংলা একাডেমিসহ নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ এবং জাতীয় সংগীত সবাই মিলে গাওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় ছায়ানটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান।

পরিবার সূত্র জানিয়েছে, ছায়ানটে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে। এরপরে সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে বিএসএমএমইউতে হিমঘরে রাখা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: মাহফুজ আলম

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় পিছিয়েছে

আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম

নিউইয়র্ক টাইমসের আলোচিত নিবন্ধটি নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

মিয়ানমারে দ্বিতীয় দফায় ত্রাণ পাঠাল সেনাবাহিনী, সঙ্গে উদ্ধারকারী দল

প্রতিরক্ষা খাতসহ বাংলাদেশ-তুরস্ক কৌশলগত অংশীদারত্ব বাড়তে পারে যেসব ক্ষেত্রে

ঈদুল ফিতরে ড. ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণকে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা

বাংলাদেশে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা

মার্চে হামলা, আইনি হয়রানি, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার ৩৪ সাংবাদিক: প্রতিবেদন

‘জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত’