বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত শান্ত রাখতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়েছে দুই দেশের সরকার। আজ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বার্ষিক পরামর্শমূলক বৈঠক (ফরেন অফিস কনসালটেশন—এফওসি) এ তাগিদ দেওয়া হয়। ভারত বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।
দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের মাসুদ বিন মোমেন ও ভারতের বিনয় মোহন কোয়াত্রা।
সীমান্ত পরিস্থিতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, আন্তযোগাযোগ, পানি ও জ্বালানি খাত, কনস্যুলার ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় এসেছে বলে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলাদা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়।
সীমান্ত পরিস্থিতির আলোচনায় প্রাণঘাতী নয়, বিএসএফের এমন অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি কার্যকর করার ওপর বাংলাদেশ গুরুত্ব দিয়েছে বলে এক কর্মকর্তা জানান।
বেসরকারি হিসাবে, এ বছর ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের কমপক্ষে ২০ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
মাসুদ বিন মোমেন তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি ভাগাভাগির চুক্তি সই ত্বরান্বিত করা, বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়াতে ভারতের আরোপ করা বাধাগুলো সরিয়ে নেওয়া ও দুই দেশের মধ্যে নিত্যপণ্যের অবাধ সরবরাহ চালু রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন।
মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের দেশটিতে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে তিনি ভারতের সহযোগিতা চান।
বিনয় মোহন কোয়াত্রা বাংলাদেশ, ভারত ও আশপাশের অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জের দেন। দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায় থেকে যে অঙ্গীকার করা হয়েছে, তা রক্ষা করা হবে বলে তিনি নিশ্চয়তা দেন।
এফওসিতে যোগ দিতে পররাষ্ট্রসচিব মোমেন গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লি যান। আগামী এফওসি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে, কিন্তু ঢাকায় দূতাবাস নেই এমন ৯০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে দিল্লিতে পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠক করার কথা রয়েছে। এ বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রদূতদের জানাবেন তিনি।
পররাষ্ট্রসচিব মোমেনের আগামীকাল শনিবার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।