চেক প্রতারণার মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক এই নির্দেশ দেন।
অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গাজী শাহাগীর হোসাইন, পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম। মামলায় আসামি তালিকায় সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের নামও রয়েছে। এটি সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী খন্দকার শাহরিয়ার আলম বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ১৫ ডিসেম্বর চেক জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা হয়। গতকাল এ মামলায় শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের প্রত্যেককে আগামী ১৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, নির্ধারিত তারিখে হাজির না হলে এই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ নেয়। এর বিপরীতে মোট প্রায় ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার দুটি চেক দেয় ওই প্রতিষ্ঠান। ওই দুটি চেক জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকগুলো ডিজঅনার হয়। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানকে এবং সাকিবসহ চারজনকে পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য উকিল নোটিশ পাঠানো হলেও তাঁরা টাকা পরিশোধ করেননি। ব্যাংকের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, তাঁদের ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা চেক দিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার সাহিবুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর দেশে আসেননি সাকিব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একটি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাকিবকেও আসামি করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগও রয়েছে।
বিদেশে থেকেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। ওয়ানডে থেকে অবসর না নিলেও সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে তিনি সুযোগ পাননি।