দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তসহ পাঁচ বৈশিষ্ট্যের মানুষকে দিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশে শুরু হচ্ছে কোভিড চতুর্থ ডোজের টিকাদান কর্মসূচি।
রাজধানীসহ দেশের সব টিকাদান কেন্দ্রে নিয়মিত টিকাদানের অংশ হিসেবেই চলবে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ বা চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম বুস্টার নেওয়ার চার মাস পূর্ণ হয়েছে এমন ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী সব জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধদানকারী মা এবং করোনা অতিমারিতে সামনে থেকে লড়াই করা চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চতুর্থ ডোজের টিকা পাবেন।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়ার কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
সে সময়ে তিনি ২০ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক ও আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে সারা দেশে প্রয়োগের কথা জানান। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে টিকা বিতরণ সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে সরকারের টিকা বিতরণ কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক আজ সোমবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগে শুরুতে আমরা কিছু ব্যক্তিকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর তাঁদের পর্যবেক্ষণে রেখে এরপর শুরু করার কথা জানিয়েছিলাম। সেটি এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে। তাই, মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি, প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা পৌঁছেছে।’