নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিম্নমানের পাঠ্যবই ছাপিয়ে গত এক যুগে তিন হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন এই রিট করেন।
দুদক চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবির সদস্য ড. রিয়াদ চৌধুরী, অধ্যাপক রবিউল কবির চৌধুরী, এনসিটিবির সচিব শাহ মোহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু নাসের টুকুসহ সংশ্লিষ্ট ১৭ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে ‘নিম্নমানের বই ছেপে ১২ বছরে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট’ শিরোনামে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নিম্নমানের পাঠ্যবই ছাপিয়ে গত এক যুগে লুটপাট করা হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা!
এর মধ্যে শুধু ২০২৩ সালেই ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৯ টাকার অনিয়ম পেয়েছে বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
বইয়ের মান ও আকার কমিয়ে এবং নিউজপ্রিন্টে ছাপিয়ে লোপাট করা হয় ২৪৫ কোটি টাকা, আর অযাচিত বিল, অতিরিক্ত সম্মানী, আয়কর কর্তন না করা, অগ্রিম সমন্বয় না করাসহ নানা কারণ দেখিয়ে আরও প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করছে সরকার। মূলত তখন থেকে নিউজপ্রিন্টে নিম্নমানের বই ছাপা শুরু হয়। তবে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বই ছাপায় বড় অনিয়ম করা হয়। টেন্ডারের সব শর্ত মেনে পাঠ্যবই ছাপার ঠিকাদারি নিলেও কাগজের পুরুত্ব, উজ্জ্বলতা ও টেকসই ক্ষমতা (বার্স্টিং ফ্যাক্টর) কিছুই মানা হয়নি।
এদিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত ৫ জানুয়ারি দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল হোসেন। তবে সেখানে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি।
আইনজীবী কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারি দুদকে আবেদন করেছিলাম। তারা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট করেছি। আবেদনে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়েছি।’