নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত ‘রাজধানীর অপরাধজগতে নেতা-সন্ত্রাসীতে আঁতাত’ শিরোনামের প্রতিবেদনের এক অংশ প্রতিবাদ জানিয়েছেন মো. আব্বাস আলী। প্রতিবাদে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর নামের আগে যে বিশেষণ ব্যবহার করা হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। তাঁর দাবি, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন সরকারি কোনো নথি ও কাগজপত্রে কোথাও তাঁর নামের পূর্বে ‘কিলার’ শব্দ নেই।
২২ জানুয়ারি আব্বাস আলীর পক্ষে এ বিষয়ে ডাকযোগে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী মো. বদরুল ইসলাম।
নোটিশে তিনি অনুরোধ করেছেন পত্রিকায় বিবৃতি আকারে এই প্রতিবাদ প্রকাশ করতে। তিনি উল্লেখ করেছেন, সামাজিকভাবে হেয় করতে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকারের কারণে তাঁর নামের পূর্বে ‘কিলার’ শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে।
লিগ্যাল নোটিশে তিনি তাঁর মক্কেলের পক্ষে পত্রিকায় প্রকাশিত আরও এক অংশের প্রতিবাদ করেছেন, সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিনা প্রমাণে কাফরুল ইব্রাহিমপুর ভাষানটেক ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চাঁদাবাজি করা-সংক্রান্ত যে অংশ উল্লেখ করা হয়েছে, তা মিথ্যা। একইভাবে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল, সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, হাসপাতালের নির্মাণকাজ ও মালপত্র সরবরাহকারী ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া কিংবা তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা, ঠিকাদারি, ডিশ ও ইন্টারনেটের লাইনে সংযোগ দিতে চাঁদা নেওয়া-সংক্রান্ত বক্তব্যগুলো মিথ্যা ও কাল্পনিক।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
মো. আব্বাস আলীর নামের আগে যে বিশেষণ ব্যবহার করা হয়েছে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্য। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কাগজপত্রেও যা বারবার ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে চাঁদাবাজির যে অংশ নিয়ে আপত্তি এসেছে, সেগুলো স্থানীয় ভুক্তভোগী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অন্য বাহিনীর অভিযোগে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই।