গণভবনে লিফট থাকলেও তা ব্যবহার করেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, 'এই গণভবনে একটা লিফট আছে। সেখানে কিন্তু আমি যাতায়াত করি না। সব সময় সিঁড়ি ভেঙ্গে আসি, সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠি। দেখি যতদিন পারি সেইভাবেই চলবো।'
আজ বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সিঁড়ির কথা শৈলেন বাবু বললেন, এটা আমি আমার জন্য বলিনি। তখন আমার সঙ্গে অনেকই ছিলেন কিন্তু তাঁরা উঠতে পারছিলেন না। তাঁদের জন্য বলেছি। আমি কিন্তু এখনো সিঁড়ি ভাঙ্গি। লিফটে চড়ি না।’
তিনি বলেন, ‘করোনা দূর হোক সেটাই চাই। করোনা গেলে নিশ্চয়ই আমি আসবো। লিফট যখন তৈরি করেছেন আমি অবশ্যই দেখবো।’
তাঁর আগে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, আপনি ১৯ সালে যখন সিঁড়ি (ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির) দিয়ে দোতলায় উঠছিলেন। বলেছিলেন আমাকে যে, ‘বয়স হয়েছে, আমি হাঁটতে পারি না। স্যার (প্রধানমন্ত্রী) আপনার সে লিফট প্রস্তুত হয়ে গেছে। আগামী বছর পূজার সময় আসবেন। আপনাকে আমি লিফট দিয়ে উপরে তুলব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন আমরা জন্মগ্রহণ করি, সেই দিনই আমাদের মনে রাখতে হবে। একদিন না একদিন মরতে হবেই। সেটাই হচ্ছে সত্য। এখন আমি আছি। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচেছি। তারপরও এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি জানি অনেক বাধা আসবেই। কারণ যে মাটিতে আমার মা, বাবা, ভাই... আমার ছোট্ট দশবছরে শিশু ভাইটিকে (শেখ রাসেল) পর্যন্ত ছাড়েনি। সেই মাটিতে যেকোনো সময় আঘাত আসবেই। কিন্তু সেটার জন্য আমি কখনোই চিন্তা করিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি চিন্তা করেছি একটাই যতক্ষণ আমার শ্বাস আছে, আমি দেশের জন্য কাজ করবো। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবো। সেই কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আমার অবর্তমানেও যেন বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা গতিশীল থাকে তার পরিকল্পনা ও কাঠামো দিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো সেটা পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু যদি দিকনির্দেশনা থাকে, তাহলে চলার পথটা সহজ হয়। এই কাজটা কিন্তু আমি করে দিচ্ছি। বয়স কিন্তু আমার কম হয়নি। পঁচাত্তর বছর বয়স আমার। সেটা মাথায় রাখতে হবে।