ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা, কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকা করাসহ দশ দাবি আদায়ে সারা দেশে নৌ-পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আজ সোমবার শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সরকার ও মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্ত নেন শ্রমিক নেতারা।’
আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘বৈঠকে আগামী এক মাসের মধ্যে শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামোর সুপারিশের আশ্বাস দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।’
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, ‘শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তাবনা প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়েছে। শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তায় অন্তর্বর্তীকালীন টোকেনের ব্যবস্থা করা হবে। এক মাসের মধ্যে গঠিত কমিটি মজুরি নির্ধারণ ও গেজেট আকারে প্রকাশ করবে।’ এ ছাড়া ধর্মঘটের কারণে যেসব মামলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার এবং যারা আসামি হয়ে জেলহাজতে গিয়েছেন তাদের জামিনেরও ব্যবস্থা করবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘আমরা যে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেছি এর প্রথম ও প্রধান দাবি হচ্ছে শ্রমিকদের ভাতা বা মজুরি। এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন, যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তারা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করলে সমস্যা এক মাসের মধ্যেই সমাধান সম্ভব। আশা করছি, আমাদের দাবি দাওয়ার প্রতি সদয় হবেন। ভাতা চলতি মাস থেকেই কার্যকর হবে।’
শ্রম ভবনে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খালেদ মামুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটিএ, শিপিং করপোরেশন, নৌযান মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৭ নভেম্বর থেকে ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান, নৌ-পথে ডাকাতি বন্ধসহ নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ১০ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় নৌ শ্রমিকেরা।