হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি হবে ১২ জুন। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন। আর ওই সময় তাঁর মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে বলা হয়।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, আপনারা শুধু নির্দিষ্ট করে দিন অর্থ পাচারকারীরা কোথায় আছেন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেব। আমাদের বিভিন্ন আদেশের কারণেই পি কে হালদার আজ সারা বিশ্বে অন্যভাবে আলোচিত। অর্থ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। আমরা এমন আদেশ দেব, অর্থ পাচারকারীরা পৃথিবীর কোথাও শান্তিতে থাকতে পারবে না।
এর আগে ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পি কে হালদারকে দেশে আনতে এবং গ্রেপ্তারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে, যা এত দিন শুনানি হয়নি। গতকাল সোমবার পি কে হালদারের ভারতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এ সময় আদালত বলেন, ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। কারণ সে এ দেশের চিহ্নিত অর্থ পাচারকারী।
আদালত বলেন, ‘আমাদের মেসেজ ক্লিয়ার, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকারীকে প্রশ্রয় দেব না। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এ বিষয়ে সিরিয়াস।’
গত ১৩ মে পি কে হালদার ও তাঁর কয়েক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি)। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
পি কে হালদার সম্পর্কিত আরও খবর:
রুই-কাতলাদের ধরতে পি কে হালদারকে দেশে এনে রিমান্ডে নেবে দুদক