যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সালাহ উদ্দিন রিগ্যান নামের এক আইনজীবী।
আজ বুধবার দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা ওই আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রিগ্যান বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে আজিজ আহম্মেদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী” ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দুর্নীতি দমন কমিশন এত বড় অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পরও অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। যা দুদকের নিষ্ক্রিয়তা। এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’
এ বিষয়ে সালাহ উদ্দিন রিগ্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদকে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি।’
জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘অভিযোগটি এখনো দেখিনি। শিডিউলভুক্ত অপরাধ হলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। দুদক অনুসন্ধান করবে।’
এর আগে ২১ মে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশের চিফ অব আর্মি স্টাফ ছিলেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। তার আগে ২০১২ সাল থেকে চার বছর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিজিবির নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: