নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা বলে মন্তব্য করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, কারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সরকারের তা জানা। অন্য দলকে এ ব্যাপারে দোষ দিয়ে লাভ নেই। নিজের মানুষের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মেনন।
বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার কৌশল হিসেবে মেনন বলেন, ‘বাজার সিন্ডিকেট না ভাঙার কোনো কারণ নাই। আমরা এ ব্যাপারে গণ-বণ্টন ব্যবস্থার পূর্ণ রেশনিং চালু করার কথা বলেছিলাম। সরকারকে বিষয়টা আরেকবার বিবেচনার জন্য বললাম।’
রোহিঙ্গা সমস্যা খুবই প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে মেনন সংসদে বলেন, মানবতা থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও তাঁরা আজ বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার প্রতি প্রত্যক্ষ হুমকিতে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের অবশ্যম্ভাবী প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের ওপর পড়ছে। এই হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা রক্ষা করা আজ কর্তব্য।
আওয়ামী লীগের দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যবস্থাটা রাজনীতিতে কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেবে সেটা দেখার বিষয় জানিয়ে মেনন বলেন, ‘রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার কথা বলছেন। এ ব্যবস্থায় ধনীরা থাকবেন, মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষ নয়। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যানের জন্য জামানত ১ লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যানে ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা করতে চাইলে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। না হলে উপজেলা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ হবে না বলে মনে করেন মেনন।’
সামনের চ্যালেঞ্জগুলো অতি কঠিন উল্লেখ করে মেনন বলেন, ‘কোনো একক দলের পক্ষে এটা মোকাবিলা সম্ভব নয়। প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ সংগঠিত করা। শত্রু সাম্রাজ্যবাদ-মৌলবাদ। এ ব্যাপারে কোনো দ্বিধা থাকলে এখনই ঝেড়ে ফেলুন। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ জয়ী হবেই।’