ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। আরেক সহযোগী ফয়জুল ওরফে সিয়াম আছেন নেপালে। তাঁদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় কলকাতা থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আরেকজন অভিযুক্ত নেপালে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে। আমরা কাঠমান্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আনার হত্যার তদন্তকাজ সফল হয়েছে। যেসব তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করতে কলকাতা গিয়েছি, তা পেয়েছি।’
আনার হত্যার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, আলামত উদ্ধারসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে ১৩ মে তাঁকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে গুম করা হয়েছে বলে জানায় ডিবি। ২৬ মে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল কলকাতায় যায়। পর দিন ২৭ মে সকালে মামলার অন্যতম আসামি কসাই জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে সঞ্জীবা গার্ডেনসের আলোচিত সেই ফ্ল্যাটে যায় ডিবির ওই দল। এ ছাড়া জিহাদকে নিয়ে বাগজোলা খালের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির হেডকোয়ার্টার অবনী ভবনে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গেও একাধিকবার বৈঠক করেন ডিবি প্রতিনিধিরা।
কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয়েছিল, ২৮ মে সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক ভেঙে মাংসপিণ্ড উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ।
এখন পর্যন্ত সংসদ সদস্য আনার হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।
আরও পড়ুন: