হোম > জাতীয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১৯ করণীয় প্রস্তাব শিক্ষক নেটওয়ার্কের

ঢাবি প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অবিলম্বে ৬ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ১৩টি করণীয় বিষয় প্রস্তাব করেছে বামপন্থী ও প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক নেটওয়ার্ক। 

আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কী চাই?’—শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভায় এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনার পাশাপাশি বিভিন্ন অংশীজনের প্রস্তাব ও প্রশ্নও গ্রহণ করে শিক্ষকদের এ সংগঠন। 

অবিলম্বে সরকারের করণীয় ৬ প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে—আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা; বিভিন্ন উপাসনালয় ও স্থাপনায় হামলা ঠেকানো এবং বিচার করা; জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ জনগণের ওপর জুলুমের জন্য দায়ীদের জাতিসংঘের সহযোগিতায় তদন্ত কমিটি ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তদন্ত ও বিচার শুরু করা; কোটা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং নিহতের পরিবারকে স্বাবলম্বী করার ব্যবস্থা করা; সাম্প্রতিক সময়ের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং আটককৃতদের মুক্তি দেওয়া এবং শিল্প-কলকারখানা খুলে দিয়ে সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। 

দীর্ঘ মেয়াদে সরকারের ১৩ করণীয় প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন অধ্যায়, জুলাই হত্যাকাণ্ডে নিহত শহীদদের তালিকা, স্মৃতিস্তম্ভসহ নানা বিষয় নিয়ে কমিউনিটি সেন্টার চালু করা; গণমাধ্যমকে সরকারের প্রভাব থেকে মুক্ত করা এবং ডিজিটাল বা সাইবার সিকিউরিটি আইনে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেওয়া; পণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট বিলুপ্ত করা এবং কৃষি খাতের বাজার ব্যবস্থাপনা পুনরুদ্ধার করা; আমলাতন্ত্র সংশোধন করে জনবান্ধব প্রশাসনিক ব্যবস্থা তৈরি করা এবং জুলাই হত্যাকাণ্ড তদন্তে নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনাল গঠন নিশ্চিত করা; প্রশাসনকে জবাবদিহির আওতায় আনা এবং দলীয় রাজনীতি মুক্ত করা। দেশি-বিদেশি গোপন চুক্তি জনগণের সামনে আনা; বিদ্যমান শিক্ষাক্রম বাতিল করা এবং শিক্ষানীতি নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা; সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়নে একটি নতুন টাস্কফোর্স গঠন করা; প্রবাসীদের জীবনমানকে মূল্য দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; পাহাড়িদের ভূমি ফিরিয়ে দেওয়া এবং সব অসম প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা; জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় বাংলাদেশের শিল্পের বিকাশ নির্ধারণ করা; ব্যাংক থেকে দুর্বৃত্ত চক্র ও নিয়ম ভঙ্গ করে নেওয়া ঋণগ্রহীতাদের আইনের আওতায় আনা; সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জনবৈচিত্র্যের সবার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা। 
 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান। 

সভায় আনু মুহাম্মদ বলেন, বিপদ আসতে পারে তিন দিক থেকে, পূর্ববর্তী সরকারের সুবিধাভোগী, সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের দিক থেকে এবং যারা ভিন্ন মতাদর্শ ও রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন এবং অপরের মত সহ্য করতে রাজি নন। 

গীতি আরা নাসরীন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রথমেই বলতে হবে, তারা কী কী কাজ করবে এবং অতি দ্রুত তাদের আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাজ শুরু করতে হবে। 

তানজীম উদ্দিন খান বলেন, সব জাদুঘর এবং আয়নাঘরের মতো স্বৈরাচারী জাদুঘর সংরক্ষণ করতে হবে। 

এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ এবং সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও সামিনা লুৎফা। প্রস্তাবনা গ্রন্থনা করেছেন মোশাহিদা সুলতানা। পাঠ করেছেন দীপ্তি দত্ত, অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, শেহরিন খান ও লাবণী আশরাফি। 

মতবিনিময় সভায় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নেতা-সন্ত্রাসীতে আঁতাত

ঢাকাকে ভারতের চোখে দেখার সম্ভাবনা কম

নবীন উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পাকিস্তান সফর, প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরানো হলো পরিচালক মনিরুজ্জামানকে

গত বছর ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬১ শতাংশই নারী: জরিপ

পাঁচ মাসে মাজার-দরগায় ৪৪ হামলা: প্রেস উইং

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না হুমায়ুনের

সেকশন