নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশব্যাপী ডিজিটাল হাটে ১৯ জুলাই পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি কোরবানির পশু। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭১০টি এবং ছাগল ও ভেড়া ৯০ হাজার ৮৬৯টি। এর আর্থিক মূল্য ২ হাজার ৭৩৫ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭৮ টাকা। এখন পর্যন্ত এসক্রো সেবার মাধ্যমে পশু বিক্রি হয়েছে ২৩টি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ডিজিটাল হাটের ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
শেষ মুহূর্তে এসে ডিজিটাল হাটে বেচাকেনা কিছুটা কমেছে। এ সময়ে বেড়েছে ছোট গরুর দাম। অন্যদিকে, বড় গরুর দাম শেষের দুই দিনে অনেকটাই কমেছে।
এ প্রসঙ্গে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, কোরবানির হাটে সবসবময় শেষের দিকে বড় গরু, বিশেষ করে ৪০০ কেজির বেশি ওজনের গরুগুলোর দাম তুলনামূলক কমে। ডিজিটাল হাটেও একই অবস্থা। এবার প্রথম দিকে যারা ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনেছেন, তাদের অনেক সাশ্রয় হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ছোট গরুর খুব চাহিদা। বেশির ভাগ ক্রেতাই ৫০ থেকে ৭০ হাজারের মধ্যে পশু কিনতে চাইছেন। কিন্তু সরবরাহ কম। ১৫ হাজার টাকার নিচে ছাগলের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা বেশি হওয়ায় গত চার দিন ছোট গরুর দাম তুলনামূলক বেড়েছে। ছাগলের ক্ষেত্রেও তাই।
করোনা সংকটের কারণে ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে প্রথম চালু হয় ডিজিটাল হাট। সেই হাটকেই এবার পুরো দেশে বিস্তৃত করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ, বাংলাদেশ দুগ্ধ খামারি অ্যাসোসিয়েশন এবং ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে অনলাইনভিত্তিক এ হাটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।