দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যাকে কেন্দ্র করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা, দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা এবং রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত তিনটি শিফটে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. হারুন-অর-রশিদকে এই সেলের দৈনন্দিন সার্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগকালীন যেকোনো ধরনের সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্টজনের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে—
একদিকে ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল; তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা থেকে ছুটে আসা পানির তোড়। সব মিলিয়ে দেশের পূর্বাঞ্চলের সিংহভাগ এলাকা এখন পানির নিচে। কোথাও কোমরপানি, কোথাও ঘরের চালা ছুঁই ছুঁই। তলিয়েছে সড়ক-মহাসড়ক, রেলপথও। ডুবেছে ফসলের মাঠ, ভেসে গেছে চাষের মাছ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে আকস্মিক এই বন্যায় কী করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে—তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে ওঠাই মুশকিল হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের জন্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের অন্তত ৯ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীর বাসিন্দারা আকস্মিক বন্যায় পড়েছে চরম দুর্ভোগে। তিন পার্বত্য জেলা—রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে যোগ হয়েছে পাহাড়ধসের ঘটনা। ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরীর অনেক সড়ক। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের মানুষ তো বিপদে আছে আগে থেকেই। এবার নিয়ে গত তিন মাসে তৃতীয় দফায় বন্যাকবলিত হয়েছে তারা।