নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নবীন উদ্যোক্তাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন, যাঁরা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তারা তাঁদের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, সামাজিক ব্যবসা প্রসারে ২০১০ সালে গঠিত গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের বিনিয়োগ কীভাবে তাঁদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছে। কেউ কেউ ষষ্ঠ বা পঞ্চমবারের মতো এ ট্রাস্ট থেকে বিনিয়োগ পেয়েছেন। উদ্যোক্তারা এ সহায়তার জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।
ড. ইউনূস উদ্যোক্তাদের গল্প শুনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের জীবনের গল্পগুলো ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুব খুশি হলাম। আপনারা অনেক ভালো ভালো কথা বলেছেন, সুনাম করেছেন। আমাদেরকে পরামর্শও দিন। আরও কী কী হলে উদ্যোক্তাদের জন্য ভালো হয়, তা আমাদের বলুন।’
বৈঠকে উদ্যোক্তারা সামাজিক ব্যবসার উদ্যোগগুলোর প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর সুপারিশ করেন। তাঁরা বলেন, বেশির ভাগ মানুষ এই উদ্যোগগুলো সম্পর্কে জানে না। প্রচারণা বাড়ালে আরও দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবে। এ ছাড়া দক্ষতা উন্নয়নে কর্মশালার আয়োজনের ওপরও জোর দেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের মতে, সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসা বড় করতে পারছেন না।
উদ্যোক্তাদের এসব প্রস্তাবের প্রশংসা করে ইউনূস বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। নবীন উদ্যোক্তারা যেন বিনিয়োগ নিয়ে বিপদে না পড়েন, নিরাপদে যেন কাজ করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে চাই। আজকের আলোচনা থেকে ভবিষ্যৎ পথচলা কেমন হতে পারে, সেসব আইডিয়া পেলাম। আপনারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।’
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, গ্রামীণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসমিনা রহমান, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান।