Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসবেন কৃষকেরা

সাইফুল মাসুম, ঢাকা 

স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসবেন কৃষকেরা
ফাইল ছবি

কৃষি খাতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি বিতরণে স্বচ্ছতার জন্য কৃষকদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ইতিমধ্যে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড নীতিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া তৈরি করেছে। গত ৩০ জানুয়ারি ছিল এ বিষয়ে অংশীজনদের মতামত জানানোর শেষ দিন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কৃষক স্মার্ট কার্ড নীতিমালার লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে একটি সমন্বিত কৃষক ডেটাবেজ (তথ্যভান্ডার) তৈরি করা। এর মাধ্যমে দেশের কৃষকদের কাছে ই-কৃষিসেবা পৌঁছে দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ও টেকসই কৃষিব্যবস্থার ভিত গড়ার চেষ্টা করা হবে।

জানা গেছে, স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের ডিজিটাল প্রোফাইল (তথ্য-সংবলিত পরিচিতি) তৈরি করা হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে যাচাইয়ের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা হবে। এ কার্ড সরকারি বরাদ্দ ও পুনর্বাসন সহায়তা দ্রুত এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে বিতরণে কাজে লাগানো হবে। কৃষকেরা স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি একটি ই-ভাউচার ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সরকারি ভর্তুকি গ্রহণ করতে পারবেন। বীজ, সার, সেচসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ ও সেবা ক্রয়ে এই ভর্তুকি ব্যবহার করা যাবে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, স্মার্ট কার্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে ভর্তুকি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত হবে। এটি কৃষিসেবা প্রদানকারী ও কৃষিপণ্য বিক্রেতাদের (ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর) সঙ্গে কৃষকদের আর্থিক লেনদেনও সহজতর করবে।

নীতিমালার তথ্য অনুসারে, এই কার্ডের নাম হবে ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড’, যা সংক্ষেপে ‘কেএসসি’ নামে পরিচিত হবে। কার্ডটি ফিজিক্যাল অথবা ভার্চুয়াল অথবা উভয় ধরনেরই হতে পারে।

জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পার্টনার প্রকল্পের পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কৃষক স্মার্ট কার্ড নীতিমালা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কার্ড ভার্চুয়াল হবে নাকি ফিজিক্যাল হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দেশের সব কৃষক পরিবার এর আওতায় আসবে।’

মিজানুর রহমান জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করে বছরের শেষ দিকে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে।

কৃষক স্মার্ট কার্ড যাঁরা পাবেন

কৃষক স্মার্ট কার্ড (কেএসসি) বাংলাদেশের যোগ্য সব কৃষকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর যোগ্যতার মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে নাগরিকত্ব, বয়স ও সংশ্লিষ্টতা: কার্ডের জন্য আবেদনকারীকে জাতীয় পরিচয়পত্রধারী বাংলাদেশি নাগরিক, ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং ফসল উৎপাদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকতে হবে। এই স্মার্ট কার্ড ভূমিহীন কৃষক (বর্গাচাষি/ভাগচাষি), প্রান্তিক কৃষক (০.৫ একরের কম জমির মালিক), ক্ষুদ্র কৃষক (০.৫ থেকে ২.৫ একর জমির মালিক), মাঝারি কৃষক (২.৫ থেকে ৭.৫ একর জমির মালিক) এবং ৭.৫ একরের বেশি জমির মালিক বৃহৎ কৃষকসহ সব ধরনের কৃষকের জন্য প্রযোজ্য হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক সময়ের প্রয়োজনে এ শ্রেণি বিভাগ পরিবর্তন বা সংশোধন করা যাবে।

স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তিতে নির্ধারিত হারে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণ থাকবে। পরিবারের নারী সদস্য কৃষিকাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকলে অথবা পরিবারের পুরুষ সদস্য যদি বেশির ভাগ সময় কাজের প্রয়োজনে অন্যত্র বাস করেন, সেই ক্ষেত্রে পরিবারের নারী সদস্যের নামে কার্ড ইস্যু করা হবে।

কৃষক স্মার্ট কার্ড নীতিমালা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ন্যূনতম ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। জেলা পর্যায়ে ন্যূনতম সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে ৯ সদস্য ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চার সদস্যের কমিটি করার কথা বলা হয়েছে।

ডিএইর তথ্য অনুসারে, দেশে বর্তমানে ১ কোটি ৬৯ লাখ কৃষক পরিবার রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

এস আলম গ্রুপের আরও ১১ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল ঢাকা–সিলেট

উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন অধ্যাপক সি আর আবরার

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

অবসরের আগে পদোন্নতি নিয়ে আগের পথেই অন্তর্বর্তী সরকার

ঈদযাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে ১৪ মার্চ