নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) অধীন সিলেট জেলা কার্যালয়ের কাজ করার আগেই ১৫ কোটি টাকা বিল ঠিকাদারকে দেওয়ার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (উন্নয়ন-৩) আম্বিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে, আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত শিরোনাম ‘কাজ না করেই ১৫ কোটি টাকা ঠিকাদারের পকেটে’—উল্লেখ্য করে বলা হয়, এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
গত ১৩ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার ‘কাজ না করেই ১৫ কোটি টাকা ঠিকাদারের পকেটে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেট জেলায় কমপক্ষে ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণকাজে ১৫ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুনই মানা হয়নি। অগ্রিম বিলের পুরো টাকাই ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যোগসাজশে ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন। অগ্রিম বিলের পরিমাণ ছিল আরও বেশি। গত দেড় বছরে কাজ করিয়ে এর মাত্রা কিছুটা কমানো হয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতার পটপরিবর্তনে বেশির ভাগ ঠিকাদার পলাতক।
আরও বলা হয়, বেশির ভাগ অগ্রিম বিল দেওয়া হয়েছে ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় একাধিক তদন্তও করেছে। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ‘অদৃশ্য কারণে’ তখনকার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল হাকিমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। বরং তাঁকে ২০২৩ সালের জুলাইতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে ময়মনসিংহ সার্কেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়।