নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ট্রেনের টিকিট বিক্রি নিয়ে নতুন চারটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণ না রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক কমার্শিয়াল শাখা থেকে জারি করা নির্দেশনা পত্রে টিকিট বিক্রির সঙ্গে জড়িত সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভিকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে—
১. কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো টিকিট সংরক্ষণ না রাখা।
২. রেলওয়ের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ব্যতীত কোনো টিকিট সংরক্ষণ না করা।
৩. রেলওয়ের সংরক্ষিত আসন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তারা (ডিসিও) তত্ত্বাবধান করবেন।
৪. টিকিট সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হলে বা অন্য কোনো প্রয়োজনে টিকিট সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তা অবশ্যই লিখিত নির্দেশনার ভিত্তিতে কার্যকরী করতে হবে।
পত্রে আগামী ১০ নভেম্বর থেকে মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ছাড়া কোনো টিকিট সংরক্ষণ না রাখতেও অনুরোধ করা হয়।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সংবাদ সম্মেলনে টিকিট পদ্ধতি নিয়ে নতুন নিয়মের কথা জানান। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা রেলে মৌখিকভাবে টিকিট বন্ধ করা রাখা হবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেছিলেন, রেলে অনেকেই কর্মকর্তা আছেন। এখানে কাজ করেন। কিন্তু এটা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। এটা জনগণের সম্পত্তি। রেলের সচিব, মন্ত্রীর জরুরি কাজ আছে বলে অন্যদের নাই এমনতো না।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশটাকে সাধারণ মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। মৌখিক বা টেলিফোনে টিকিট বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে এখন থেকে। আবার বিভিন্ন স্টেশন থেকেও টিকিট বরাদ্দ আছে। এখন সেটা এক স্টেশনে বিক্রি না হলে অন্য স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। সেটাও সহজকে বলা হয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’