ঢাকায় ইতালি দূতাবাসে ভিসা দেওয়ার গতি কম। সরকার বাংলাদেশের কর্মীদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে দূতাবাসকে যথেষ্ট চাপ দিচ্ছে।
ভিসাপ্রার্থী কয়েকজন কর্মী আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌফিক হোসেন।
ঢাকায় ইতালি দূতাবাসের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, দূতাবাসে ৪০ হাজার কর্মীর ভিসার আবেদন জমা আছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ব্যক্তির নিয়োগের সঠিকতার বিষয়ে দূতাবাস নিশ্চিত হয়েছে। দূতাবাসে কর্মী কয়েকজন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ২০ হাজার ভিসা দেওয়ার চেষ্টা করবে দূতাবাস।
উপদেষ্টা বলেন, ভিসা প্রার্থীদের বলা হয়েছে যদি তাঁরা সভা–সমাবেশ ও ঘেরাও ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেন, তাতে কারও কোনো লাভ হবে না।
যদি বেশি চাপ দেওয়া হয়, দূতাবাসের কর্মকর্তারা যদি ঝুঁকির মুখে আছে বলে মনে করেন, তাহলে আরও কর্মকর্তা চলে যেতে পারেন বলে সতর্ক করে উপদেষ্টা বলেন, এতে ভিসা দেওয়ার বিষয়টি আরও বিলম্বিত হবে। আর বৈধভাবে যে কর্মসূচির অধীনে কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া দেশটি শুরু হয়েছে, তা তাঁরা বাদ দিয়ে দিতে পারেন। এমন আশঙ্কার কথাও ভিসা প্রার্থী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে।
পরিস্থিতি তৈরি করে কোনো লাভ নেই, জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, জোর করে ভিসা আদায় করতে সরকার পারবে না। নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার পরও যে কাউকে সাক্ষাৎকারে ডাকা হতে পারে। এমনকি কোনো কারণে ভিসা নাও হতে পারে। কারণ ভিসা দেওয়া বা না দেওয়া তাঁদের (ইতালি সরকারের) সার্বভৌম অধিকার।