জাতিসংঘের অধীনে আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হুট করে সেখানে যাওয়া কষ্টকর। যেহেতু জাতিসংঘের মাধ্যমেই সেখানে কাজ হচ্ছে। ফলে তাদের পক্ষ থেকে যদি বলা হয় ত্রাণ দেওয়ার বিষয়টি, তাতে যোগ দেব। যেহেতু আফগানিস্তানের এখনকার সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই, তাই জাতিসংঘের উদ্যোগে কাজ করবে বাংলাদেশ।’
আফগানিস্তানে সংলাপ আয়োজন নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সেখানে বাংলাদেশকে একটি পক্ষ হতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ এ সংলাপে পক্ষ হতে রাজি রয়েছে।
এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু দীর্ঘ দিন ধরে আফগানিস্তান গঠনে কাজ করছে। তাই বাংলাদেশ এ সংলাপে পক্ষ হবে। বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক সেখানে অনেক দিন ধরেই কাজ করছে। আর জাতিসংঘের অধীনে দেশটিতে ত্রাণ হিসেবে ওষুধ ও খাবার পাঠাবে বাংলাদেশ।
এদিকে স্পেন থেকে দেশে ফেরত এসেছেন আফগানিস্তানে আটকে পড়া ছয় বাংলাদেশি। আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করে তাঁদের স্পেনে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে আজ বুধবার দুপুরে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আফগানিস্তান থেকে বেশির ভাগ বাংলাদেশি ইতিমধ্যে চলে এসেছেন। ছয় বাংলাদেশিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
স্পেনের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় পাওয়া ছয় বাংলাদেশিরা বুধবার দুপুরে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছান। বাংলাদেশে নামার পর বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে আটকে পড়া ৩০ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাকিরা এখনো নিজ ইচ্ছায় সেখানে অবস্থান করছেন।
এর আগে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয় ১২ বাংলাদেশিসহ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ শিক্ষার্থীকে। এর পর সেখান থেকে তাঁদের ছয়জনকে কাতারে এবং বাকি ছয় বাংলাদেশি ও ১৬০ শিক্ষার্থীকে স্পেনে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৬০ শিক্ষার্থীর বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি সম্পূর্ণ সেই শিক্ষার্থীদের বিষয়—তাঁরা বাংলাদেশে আসতে চান কি না। তাঁদের বাংলাদেশের ভিসা রয়েছে। যদি তাঁরা আসতে চান, তবে তাঁরা আসতে পারবেন। এমনও হতে পারে তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানেই তাঁদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হলো। ফলে তাঁদের বিষয়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেই।