কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সংঘাতের সময় সেখানকার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রায় আট হাজার মানুষ বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে এ অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
নীতিগতভাবে সরকার নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সীমান্তের ফাঁকফোকরের ভেতর দিয়ে তারা ঢুকে পড়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সীমান্তে অবশ্যই অনুপ্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা জানান, বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে শিগগির আলোচনা হবে।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ও সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আছে।
উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে। তাদের অনেক সোর্স দুর্নীতিতে যুক্ত। তারপরও অনুপ্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, তিনি মনে করেন, রাখাইনের যা পরিস্থিতি, তাতে প্রত্যাবাসন সফল করতে হলে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার হতে পারে।
মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গারা বিপুল সংখ্যায় সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। তাদের ফেরাতে একই বছরের নভেম্বরে দেশটির সঙ্গে তিনটি চুক্তি সই হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও আনুষ্ঠানিকভাবে রাখাইনে ফিরে যায়নি।