ঢাকা: করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশ। নগরে বেড়েছে দারিদ্র্য। আর্থিক সংকটে দিশেহারা মানুষ। এ বাস্তবতায় পানির দাম না বাড়াতে ভোক্তা অধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরোধ ছিল। বোর্ড সভাতেও বিষয়টি বিবেচনা করার সুপারিশ করেন একাধিক সদস্য। কিন্তু ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান তাঁর অবস্থানে অনড়। তিনি অনেকটা একক সিদ্ধান্তেই পানির দাম বাড়িয়ে নতুন দর নির্ধারণ করেছেন।
আজ সোমবার বোর্ড সভায় ঢাকায় সরবরাহকৃত পানির নতুন দর নির্ধারণ করা হয়। নতুন দরে আবাসিক এবং বাণিজ্যিকে প্রতি ইউনিট (এক হাজার লিটার) পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা এবং ৪২ টাকা। আগামী ১ জুলাই থেকে এ দাম কার্যকর হবে। বর্তমানে আবাসিক এবং বাণিজ্যিকে এক ইউনিট পানির দাম যথাক্রমে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা এবং ৪০ টাকা।
বোর্ড সভায় অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে অংশ নেন ছুটিতে থাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান। পানির দাম বাড়াতে শুরু থেকেই তিনি সবচেয়ে তৎপর ছিলেন। বোর্ড সভায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পানির দাম না বাড়াতে মতামত দেন বেশ কয়েক জন। বাকিরা নীরব থাকলেও তাদের বেশির ভাগেরই দাম না বাড়ানোর পক্ষেই অবস্থান ছিল। কিন্তু তাতে পাত্তা দেননি এমডি। তিনি বলেছেন, দাম না বাড়ালে ভর্তুকি বাড়াতে হবে। তাই পানির দাম না বাড়িয়ে উপায় নেই।
এপ্রিল থেকে তিন মাসের ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান। সেখান থেকেই ভিডিও কনফারেন্সে বোর্ড সভায় অংশ নেন তিনি।