নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমান সরকার কীভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে তার রূপরেখা তুলে ধরেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্ষমতা হস্তান্তরের জাতীয় রূপরেখা নির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছে তারই প্রেক্ষাপটে আন্দোলনরত সকল দল, সংগঠন, ব্যক্তিসহ বাংলাদেশের সকল নাগরিকের প্রতি এই রূপরেখা উত্থাপন করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের দলের প্রধান কার্যালয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই রূপরেখা উত্থাপন করা হয়। রূপরেখা উত্থাপন করেন দলের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে সংবিধানের ৫৭ (১) (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের ১০ দিনের মধ্যে আন্দোলনকারী সকল শক্তির সঙ্গে আলাপের ভিত্তিতে সর্বজন গ্রহণযোগ্য কিছু ব্যক্তির নামের তালিকা প্রস্তুত করবেন। সংক্ষিপ্ত তালিকার মধ্য থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মনোনীত করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে নিয়োগ দেবেন।
দলের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলমান আন্দোলনে জনগণের মধ্যে দানা বাধা ‘রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট সংস্কারের প্রস্তাব তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক টাস্কফোর্স গঠন এবং গণ-আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
তিনি আরও জানান, উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহের সমন্বয়ে ‘সংবিধান সংস্কারের ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করবেন। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার যাতে সেই ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকে তার ব্যবস্থা করবেন। শেষে সংবিধান সংস্কার এবং সরকার গঠনের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবেন এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
দলের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, অতীতে ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণ-অভ্যুত্থানের ফলাফল সব সময় বেহাত হয়ে গিয়েছিল। এইবার আমরা তা অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করব। শত শত শহীদের রক্তের দায় আমাদের মেটাতেই হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন, সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।