বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হচ্ছে না। এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নববর্ষ সংক্রান্ত সভা শেষে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নাম পরিবর্তন নিয়ে আমরা কোনো আলোচনা করিনি। গতকাল রোববারের মিটিং শেষে এ নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সেটিকে “মিসকোট” করে প্রচার করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহার ইসলাম চঞ্চল বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আজকের সভায় প্রতিপাদ্য চূড়ান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কিছু কমিটি এবং উপকমিটি গঠনেরও কাজ চলছে। এ সংক্রান্ত একটি উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা। শোভাযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন। এ ছাড়া আরও কিছু কমিটি গঠনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এদিকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে এ বছর মঙ্গলবার শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অংশীজনদের বৈঠকে উদ্যাপনে সমন্বয়, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত এবং উদ্যাপন কার্যকর নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভা শেষে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এবারের উদ্যাপনটা দুই দিনব্যাপী হবে। চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ দুটি উদ্যাপনই জাতীয়ভাবে আয়োজন করা হবে। এর মধ্যেই রয়েছে শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ কাজ শুরু করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ আয়োজনে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মানুষজন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যোগ দেবেন। সবার অংশগ্রহণের ফলে এ বারের উদ্যাপন পূর্বের তুলনায় বৃহৎ ও রঙিন হবে।’
স্লোগান নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ পরবর্তী সময়ে প্রথম নববর্ষ এটি। ফ্যাসিবাদের অবসানের দিকে লক্ষ্য রেখে স্লোগান ঠিক করা হয়েছে—নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান।
আরও খবর পড়ুন: