নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকাঃ চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের তিন ‘নারী সঙ্গী’কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের তিন নারী সঙ্গী হচ্ছেন-লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ শনিবার তাঁদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন তদন্ত কর্মকর্তা নতুন কোনো রিমান্ডের আবেদন করেননি। তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত সোমবার তাঁদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগের গত রোববার উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে আলোচিত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী আমি সহ এই নারীদের আটক করা হয়। আটকের সময় ওই বাসা থেকে চার বোতল বিদেশি মদ, বিভিন্ন ব্রান্ডের মদের খালি বোতল ও এক হাজার পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ওই দিন রাতে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি এখনো রিমান্ডে আছেন। গত মঙ্গলবার তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নায়িকা পরীমণি। গত সোমবার দুপুরে পরীমণি নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গত ৮ জুন রাতে ঢাকার মিরপুর বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাবে অমির সঙ্গে যান পরীমনি। ওই ক্লাবে গেলে নাসির উদ্দিন, অমি ও অজ্ঞাতনামা চারজন পরীমণিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন এবঙ্গ হত্যার চেষ্টা চালান। এই ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার পর এ সমস্ত মামলার ঘটনা ঘটে।