নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদযাত্রায় আন্তনগর ট্রেনগুলোর টিকিট ১০ দিন আগে বিক্রি হলেও মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় যাত্রার দিনে। একই সঙ্গে যাত্রার দিনে পাওয়া যায় আন্তনগর ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিটও। ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন সকালে টিকিট পেতে কমিউটার ট্রেনগুলোর কাউন্টারের সামনে হাজারো মানুষের ভিড় লেগে আছে। কাউন্টার থেকে লাইন গিয়ে ঠেকেছে পার্কিং পর্যন্ত।
আজ শনিবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ঢাকা থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮টি কমিউটার ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করে। আন্তনগর ট্রেনে যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট স্ট্যান্ডিং হিসেবে বিক্রি করা হয়। ওই টিকিটের জন্যও আন্তনগর ট্রেনের কাউন্টারগুলোতে মানুষের ভিড় আছে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিউটার ট্রেনে অন্যান্য সময় একটি টিকিট কিনলে একটি আসন দিত। কিন্তু ঈদের সময় তারা চার-পাঁচটি আসন একসঙ্গে না কিনলে সিটসহ টিকিট দেয় না। যেহেতু আন্তনগর ট্রেনগুলোতে টিকিট পাওয়া যায়নি, তাই এটিই এখন শেষ ভরসা।
আন্তনগর কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাইনের প্রত্যেকের প্রত্যাশা, আসন না পেলেও অন্তত ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটটা পাবেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না, আন্তনগর ট্রেনের শুধু শোভন শ্রেণির ২৫ শতাংশ টিকিট দেওয়া হবে। এতে অনেকে টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন। চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী কমিউটারের যাত্রী শফিকুর রহমান বলেন, দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়েছি। কম ভাড়ার জন্য এই ট্রেন বেছে নিয়েছি।
এদিকে, ঈদের প্রথম দিন শিডিউল জটিলতার ফাঁদে পড়েছিল রেলওয়ে। তবে চতুর্থ দিনে রাজধানীর কমলাপুরে চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। ট্রেনযাত্রায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির অবসান ঘটেছে অনেকটা। ঈদে ট্রেনযাত্রায় নেই শিডিউল বিপর্যয়। ফলে গন্তব্যের উদ্দেশে ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রায় শামিল হচ্ছে ট্রেনযাত্রার চতুর্থ দিনে গন্তব্যগামী সাধারণ মানুষ।
কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ সারা দিন ৬৮ জোড়া ট্রেন অন্য গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। সকাল থেকে যতগুলো ট্রেন শিডিউলে ছিল সবগুলোই নির্দিষ্ট টাইমে স্টেশন ত্যাগ করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তি নেই।’