নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কৃষি মন্ত্রণালয়ে সীমা লঙ্ঘনের কালচার থাকলে কৃষিতে এত বরকত হতো না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা সীমা লঙ্ঘনকারী না। মন্ত্রণালয়ে সীমা লঙ্ঘনের কালচার থাকলে কৃষিতে এত বরকত হতো না। আপনারা যদি প্রশংসা না করেন, আমরা উৎসাহ পাব কোথায়। আপনারা ভালোবেসে ভুল ধরিয়ে দেন। আমরা শুধরে নেব। আমাদের বিপদে ফেলে, অপদস্থ করে ভুল ধরিয়েন না।’
আজ বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিসের (এআইএস) মিলনায়তনে ‘স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিসচিব বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৭ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সাংবাদিকেরা পাগলের মতো দৌড়ায় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। কোথায় একটা জায়গা যেখানে তথ্য পাওয়া যাবে, কে কথা বলবে। ব্যস্ততার কারণে আমি অনেক সময় ফোন রিসিভ করতে পারি না।’
মন্ত্রণালয়ের তথ্য ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস’ সরবরাহ করতে পারে জানিয়ে ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘এআইএসের মতো প্রতিষ্ঠান অনেক মন্ত্রণালয়ের নেই। এআইএস সাংবাদিকদের আসার-বসার ব্যবস্থা করবে। সাংবাদিকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে। কৃষি তথ্য সরবরাহ করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ।’
এর আগে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ বলেন, ‘কৃষিবিষয়ক তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে পাই কি না। কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে যে ওয়েবসাইট, যেখানে কতটুকু তথ্য পাই। আসলে আমরা যা তথ্য পাই ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে। অনেক কায়দাকানুন করে তথ্য পেতে হয়।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআইয়ের কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান পূরবী মতিন। প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের কৃষি উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’–এর উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক ও চ্যানেল আইয়ের বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বি এম রাশেদুল আলম, বিএজেএফের সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন প্রমুখ।