জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। আজ শনিবার স্পিকারের সংসদ ভবনের কার্যালয়ে দুজন সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে শিরীন শারমিন চৌধুরী ও টনি ব্লেয়ার মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অবদান, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। ১৯৪৮ সালে ভাষার জন্য শুরু হয় প্রতিবাদ-আন্দোলন আর শেষ হয় ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের কালো অধ্যায়। কালো আইন সংযোজনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে রচিত সংবিধানে কাটাছেঁড়া করা হয়। এর পরও সহযাত্রীর মনোভাব নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে মহান জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করে। এ বছর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করতে যাচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। এ সময় টনি ব্লেয়ার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কমনওয়েলথ স্কলারশিপের অধীনে ইউনিভার্সিটি অব এসেক্স থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের স্মৃতিচারণ করেন স্পিকার।
সাক্ষাতে বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে টনি ব্লেয়ার বলেন, ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় শিল্পী পপসংগীত তারকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করেন, যা মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নসহ উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।