হোম > জাতীয়

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়া সমাপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের যৌথ অংশগ্রহণে ‘এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং (টিএল)-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজেন্দ্রপুরের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংয়ে (বিপসট) এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুশীলনের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী অবদান রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণে সহযোগী বন্ধুপ্রতিম দেশসমূহের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী।’ 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অনুশীলন টাইগার লাইটনিং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা বাড়াতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করতে সহায়ক হবে। 

এ ছাড়া প্রধান অতিথি এই অনুশীলন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিপসট ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিক কমান্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড (USARPAC) এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসুয়া লং বিশেষ অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও ধারাবাহিক সাফল্য সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এই অনুশীলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের মান ও পেশাদারিত্ব আমাদের অভিভূত করেছে।’ 

এ ছাড়া, সমাপনী অনুষ্ঠানে কমান্ড্যান্ট বিপসট মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তিনি অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সদস্যদের দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে অনুশীলন সম্পন্ন করায় বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

গত ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে দুই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত এই অনুশীলনে কমান্ড পোস্ট অনুশীলনের প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর Military Decision Making Process (MDMP) এবং জাতিসংঘে প্রচলিত Military Planning Process (MPP) এর ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। 

এ ছাড়া, দুই দেশের সেনাবাহিনীর নির্বাচিত সদস্যদের Counter Improvised Explosive Device (CIED) এবং Tactical Combat Casualty Care (TCCC) সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর যৌথ প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়। উভয় দেশের বিষয় সম্পর্কিত অভিজ্ঞ (SME) প্রশিক্ষকদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে পরিচালিত এ সব প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অধিকতর সফল ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি

জিয়াউলের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তিকে গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

৮ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অর্ধশতকোটি টাকা লুট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

সৌদি আরবে বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক, সতর্ক করল দূতাবাস

নিজের বিচার সরাসরি সম্প্রচার চান হাসানুল হক ইনু

২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা