ঢাকা: রাতেই আসছে ফাইজার–বায়োএনটেকের কোভিড টিকার ১ লাখ ৬২০ ডোজ। বিশ্বের সব দেশে টিকা সরবরাহ নিশ্চিতে জাতিসংঘের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে আসছে এই টিকা। এই টিকা বহনকারী কাতার এয়ারলাইনসের বিশেষ বিমানটি আজ রোববার রাত সাড়ে ১১টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। তবে ফাইজারের টিকা নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় বলে এটি নিয়ে চ্যালেঞ্জ থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সরকারের এ সক্ষমতা আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টিকা ঢাকায় পৌঁছালে সেখান থেকে ইপিআইয়ের তত্ত্বাবধানে মহাখালীর সংরক্ষণাগারে নেওয়া হবে। সেখানে আলট্রা-লো ফ্রিজারে মাইনাস ৬০ থেকে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা হবে। তবে কেন্দ্রে নেওয়ার আগে আইএলআর রেফ্রিজারেটরে আট ঘণ্টা রেখে দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখার উপযোগী করা হবে। এ অবস্থায় টিকা সংরক্ষণ করা যাবে অন্তত পাঁচ দিন। বিভিন্ন কেন্দ্রে যাতে সহজেই এটিকে রাখা যায়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। ছয় ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে। কোভিশিল্ড ও সিনোফার্মার চেয়ে এই টিকার সংরক্ষণ ব্যবস্থা ভিন্ন হওয়ায় এটিকে চ্যালেঞ্জ মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশ কার্যকর এই টিকা দেওয়া হবে শুধু পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনো টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়নি। আমরা প্রথমে কয়েকজনের শরীরে প্রয়োগ করে এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করব। যাঁরা প্রথম ডোজের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাঁদেরই পাওয়ার কথা থাকলেও আপাতত মৃত্যুহার ঠেকাতে পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকদের এই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। দুই ডোজের এই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহের পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
ফাইজারসহ দেশে এখন পর্যন্ত অনুমোদন পেয়েছে চারটি টিকা। বাকি তিনটি হলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ও চীনের সিনোফার্মার টিকা। এর মধ্যে প্রয়োগ হয়েছে কোভিশিল্ড ও সিনোফার্মার টিকা। তবে এখনো বাংলাদেশে আসেনি স্পুটনিক-ভি।
অন্যদিকে টিকা সংকটের মুখে চলতি সপ্তাহেই বন্ধ হচ্ছে চলমান কোভিশিল্ডের টিকাদান কর্মসূচি। এতে করে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকবেন প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ।