মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলের উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে তিনি এ কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রাচীনকাল থেকে বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্য হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি সরাসরি গভীর সমুদ্রবন্দর হোক। সম্ভ্যাবতা যাচাই করে একসময় সোনাদিয়াতে এ বন্দর নির্মাণ করার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু সেখানে আমাদের অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। সেখানে নানান ধরনের সামুদ্রিক জীব রয়েছে, গভীর সমুদ্রবন্দর করতে গেলে তা নষ্ট হয়ে যাবে, তা ঠিক হবে না, সেটাকে রক্ষা করাই আমার লক্ষ্য ছিল ৷ এ কারণে মহেশখালীতে চলে আসি। মাতারবাড়ীতে করছি।’ গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য আলাদা আইন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বন্দরটি চালু হলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে বলে উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। একই সঙ্গে শুধু বাংলাদেশ নয়, আঞ্চলিক দেশগুলো বিশেষ করে নেপাল, ভুটান বা ভারত এ বন্দর ব্যবহার করতে পারবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়নে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে সহযোগিতা করার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমরাও তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাব। যদিও করোনাভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এখন আবার ফিলিস্তিনের ওপর হামলা, নারী-শিশুদের ওপর নির্বিচারে হামলা। যেকোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমরা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করিনি। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা চাই পৃথিবীতে যুদ্ধ বন্ধ হোক, মানুষ ভালো থাকুক। নারী-শিশুরা জীবন দেয়, যুবকেরা যুদ্ধে গিয়ে জীবন দেয়। এ ধরনের পরিবেশ আমরা চাই না, শান্তি চাই। কাজেই সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা চাই।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।