দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও রপ্তানি আয় বাড়াতে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর করতে হবে। ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ এই শব্দ দুটি ভুলে যেতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে রপ্তানি উন্নয়ন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে ডেনিমে প্রথম এবং তৈরি পোশাক শিল্পে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এটি দেশের জন্য গৌরব ও অহংকারের বিষয়। সেবা নিশ্চিত করতে হলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে। এই শব্দ ভুলে যাওয়া উচিত। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে হয়রানি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দায়িত্বে অবহেলা করে টেবিলে কাজ ফেলে রাখা উচিত নয়। যেদিনের কাজ সেদিনেই করতে হবে। আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখা যাবে না।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই। রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সম্ভাবনাময় খাত আছে। দেশে রপ্তানিযোগ্য বৈচিত্র্যময় নানা পণ্যের সমাহার রয়েছে। এগুলো কাজে লাগানোর জন্য দরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। এ ছাড়া নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন ২০৩০ এবং ২০৪১ সালের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ১২ হাজার ডলার দিয়ে রপ্তানির যাত্রা শুরু হয়। তা এখন প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভিয়েতনাম দেশের ২৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারলে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে থাকবে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।