নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমানে ভিডিপি বাহিনীর কিছু সদস্যকে ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, বর্তমানে ভিডিপি বাহিনীর কিছু সদস্যকে ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে তাদের নিয়োগের ধরন, মূল কাজ এবং বাহিনী থেকে আইনগত অধিকার বিষয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উসকানি দিচ্ছে। সকল স্বেচ্ছাসেবী সদস্যকে আইনসিদ্ধ নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করার জন্য এবং বাহিনীর শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আরও বলেন, আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন, আর্থসামাজিক অগ্রগতি, ডিজিটালাইজেশন এবং সদস্যদের রাজনীতিমুক্ত সামাজিক জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আনসার ও ভিডিপির বাহিনী তার সুনামের সঙ্গে দেশের উন্নয়নে এক কাতারে কাজ করে যাচ্ছে এবং নতুন বাংলাদেশ গঠনে এক সক্রিয় অংশীদার হিসেবে সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, গত এপ্রিলে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা স্বেচ্ছাসেবী ভিডিপি সদস্যদের দায়িত্বের পরিধি, নিয়োগ এবং মেয়াদ স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। ভিডিপির আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী, সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করছে। মৌলিক প্রশিক্ষণকে আরও আধুনিক ও আকর্ষণীয় করতে অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট সংযোজন করা হচ্ছে, যা প্রশিক্ষণকে সহজবোধ্য ও কার্যকরী করে তুলবে। কর্মদক্ষ সদস্যদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বিশেষ অবদান রাখবে, তাঁদেরকে সাধারণ আনসার পদে অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, আনসার-ভিডিপির কারিগরি প্রশিক্ষণের মানোন্নয়নকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর স্বাবলম্বী হতে আর্থিক সহায়তার জন্য ভিডিপির উন্নয়ন ব্যাংক সদস্যদের পাশে থাকবে, যেখান থেকে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। ভিডিপির দলনেতা এবং দলনেত্রীদের গুণগত ও মানগত প্রশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে তৃণমূল পর্যায়ে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং সামাজিক সুরক্ষায় তারা আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।