নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে বেড়েছে এডিস ও ডেঙ্গু মশার প্রকোপ। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মশার বিস্তার কমাতে মাঠে কাজ করবেন ৬ হাজার কর্মী। এই লোকবল নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে ডিএনসিসির ‘ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে মশক নিধনে চিরুনি অভিযানের উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে এডিস মশার প্রজনন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মশা নিধনে ২০২০ সাল থেকে বহুমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন তাদের কাজ করবে। আর সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনার বাড়ির আঙিনা আপনাকে পরিষ্কার করতে হবে। মশক নিধন কর্মসূচিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে স্কুল–কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ সবাইকে যুক্ত করতে হবে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতার পরে ২০২০ সালে আমরা সফল হয়েছি। এ বছর এখনো আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
মশার বিস্তার কমাতে হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গু রোগীর তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকার হাসপাতালগুলোর দায়িত্বশীলদের বলছি, তথ্য দেন। আমরা রোগীদের বাড়িতে গিয়ে স্প্রে করে দেব। মশা নিধন করতে সবার স্বার্থে তথ্য দেবেন।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন বাসায় গত বছর স্প্রে করে রং লাগিয়ে দিয়ে আসছি। পরে আবার মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। সবাই মিলে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে অভিযান সফল করতে হবে। সবাইকে কাজ করতে হবে। চিরুনি অভিযান, মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা সবাইকে বলছি, তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘আমরা অ্যাপসের মাধ্যমে তথ্য নিচ্ছি। প্রতিটি বাসার ঠিকানা আমাদের কাছে আছে। গত বছর ১ হাজার ৭২০টি বাসায় মশার লার্ভা পেয়েছি। গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ১৬৫ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির মাত্র ৩৩ জন।’