‘শিক্ষার্থীদের টিকাদানে জটিলতা কাটাতে এবার স্ব স্ব স্কুলে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বর্তমানে চার-পাঁচটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের একটি স্কুলের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে করে নিবন্ধনসহ নানা বিষয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাই এখন প্রতিটি স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তা শুরু হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার অ্যান্টিবায়োটিকের সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় অনলাইনে ড্রাগ লাইসেন্স চালুর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
প্রবাসীদের বুস্টার ডোজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিনোফার্মসহ সব টিকাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনপ্রাপ্ত। অনেক দেশেই সিনোফার্মের টিকার বাধা উঠেছে। কিছু দেশ এখনো রেখেছে। কীভাবে কোয়ারেন্টিন সহজ করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নয় জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা চাই নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আসুক। তবে যেগুলো আছে সেগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারিয়ে গেলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নিলে মৃত্যু বাড়বে। এতে রোগী বাড়ার সঙ্গে হাসপাতালেও চাপ বেড়ে যাবে।
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কাউকে অ্যান্টিবায়োটিক না দিতে ফার্মাসিস্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও বিতরণ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ওষুধ নীতি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে মন্ত্রিসভা তা অনুমোদনও দিয়েছে। জাতীয় সংসদে অনুমোদন হলেই আইন অনুযায়ী সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হবে।