নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মায়ের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘১৯৮০ সালে ডেঙ্গুতে আমি মাকে হারিয়েছি। তাই এটা নিয়ে আমার চিন্তা আছে। আমি কাজ করব, যাতে আর কারও মা এতে মারা না যায়।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০২৪ সালের ডেঙ্গুর প্রস্তুতি নিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে মশার আচরণ নিয়ে একটি গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার আচরণ ও প্রজনন ধারা পরিবর্তন হয়েছে। এত দিন এডিস মশা শুধু পরিষ্কার পানিতে জন্মায় বলা হলেও দূষিত নর্দমার পানিতেও বেঁচে থাকতে সক্ষম। আগে শুধু দিনের আলোয় এডিস মশা কামড়ালেও, এখন কৃত্রিম আলোর তীব্রতা বাড়ার কারণে রাতেও এ মশা কামড়াচ্ছে।
ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির আগেই তা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, রোগটি কারও হওয়ার আগেই যাতে প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
গবেষণার তথ্য অনুসারে, ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৮৫৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালে এক বছরেই মারা গেছে ১৭০৫ জন। তবে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে এ অনুষ্ঠানে।