কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দেওয়া ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ আসছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েতউল্লাহ।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমরা গাড়ি বন্ধ করিনি। গাড়ি চলার নির্দেশ আছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি রাস্তার অবস্থা ভালো থাকে তবে গাড়ি চলবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তখন দেখা যাবে। তখন বন্ধ থাকতে পারে।’
এদিকে আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের কাছে কয়েকটি দূরপাল্লার গাড়ির চালক জানিয়েছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) শুধু সকালের প্রথম দুটি ট্রিপ চলতে পারে। সারা দিন গাড়ি বন্ধ থাকবে।
ঢাকা–যশোর রুটের একটি পরিবহন কোম্পানির গাড়িচালক বলেন, তাঁদের সকাল ৬টা ও ৭টার গাড়ি ঢাকা থেকে ছাড়বে। অন্য গাড়ি সারা দিন চলবে না।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারা দেশে সংঘর্ষে ৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ–যুবলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক। এর প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জুলাই) নিহতদের উদ্দেশে গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন মিছিল কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্যাম্পাসগুলোতে কোথাও শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে শুধু ঢাকাতেই অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না।
আরও খবর পড়ুন: