হোম > সারা দেশ > ঢাকা

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তরায় বিক্ষোভ

 উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি 

স্কুলছাত্রী জারা হায়াত খানকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর দক্ষিণখানে স্কুলছাত্রী জারা হায়াত খানকে (১৩) দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তরার মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় গ্রেপ্তার হওয়াদের ফাঁসি ও পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় তারা।

গাজীপুর-ঢাকা মহাসড়কের আজমপুরের উত্তরা পূর্ব থানার সামনে আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টা ৩০ মিনিট থেকে ৩টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী সময়ে মহাসড়কের এক পাশে অবস্থান করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে তারা।

এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দক্ষিণখানে এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’

ওসি বলেন, ‘নিহত ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে তার সহপাঠীরা রাস্তার এক পাশে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছিল।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী উত্তরখানের বজলুর হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে কেনাকাটা করার কথা বলে বের হয় জারা। এ ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে ২৭ জানুয়ারি একই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, অজ্ঞাতনামা কয়েকজন জারাকে জয়নাল মার্কেট এলাকা থেকে প্রাইভেট কারে করে তুলে নিয়ে যায়।

মামলা তদন্তকালে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে রবিন হোসেন (৩২) ও মো. রাব্বী মৃধা (২৬) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদেরকে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

স্কুলছাত্রী হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গাজীপুর-ঢাকা মহাসড়কের এক পাশে অবস্থান করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রিমান্ডের আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার রাস্তার ঢাল থেকে ওই কিশোরীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে আসামিদের আদালতে পাঠানো হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে আসামি রবিন ও রাব্বি বলেন, ঘটনার দিন তারা ভিকটিমকে ফাঁদে ফেলে মহাখালীর একটি বাসায় নিয়ে যায়। এরপর তারা ভিকটিমের হাত, পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে।

একপর্যায়ে কিশোরীটি অচেতন হয়ে পড়ে। পরে সে মারা গেলে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করা হয়। কিশোরীকে হত্যা করার পর লাশ বস্তাবন্দী করা হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দিন মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে আসে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। লাশটি সেতু থেকে হাতিরঝিলে ফেলে দেয় তারা।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

তোপখানায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির