নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মন্ত্রী তো সত্য কথা বলেছেন! উনি মনে করেন ভারতের দয়াতেই ওনারা বেঁচে আছেন। দেশে যখন নির্বাচন হয়, যে নির্বাচনই হোক তাতে ভারত সমর্থন করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও এমনটা হয়েছিল। সুতরাং উনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উনি কী অন্যায় করেছেন! সত্য কথা বলা তো অপরাধ হতে পারে না। সে জন্যই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনকে পদোন্নতি দিয়ে ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার করা এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ রোববার গণস্বাস্থ্য নগর কেন্দ্রের নিজ কার্যালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং খোদা না করুন প্রধানমন্ত্রীর পতন হয় তাহলে তো সবার আগে পালিয়ে যাবে হাছান মাহমুদ, তারপরে ওবায়দুল কাদের। কিন্তু এই ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে থাকবেন। সে জন্যই আমি মনে করেছি তাকে বিচারে না এনে প্রমোশন দেওয়া উচিত।’
তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অসহায় এমন পরিপ্রেক্ষিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ওনার পদত্যাগ করা উচিত। উনি তো ব্যবসায়ী, তাই উনি সব সময় ব্যবসায়ীদের স্বার্থই দেখে থাকেন, সাধারণ মানুষের নয়।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কয়েকটি পরামর্শ মেনে কাজ করেন তাহলে একেবারে ভরাডুবি না হয়ে অন্তত ১০০টি আসনে বিজিত হতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আপনাকে তাঁর উপদেষ্টা হিসেবে ডাকে তাহলে কী আপনি সাড়া দেবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি আমার কিছু নির্দিষ্ট শর্ত যেমন, তারসঙ্গে সব সময় দেখা করার সুযোগ থাকতে হবে, টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ থাকতে হবে এবং যদি কোনো কারণে তিনি যদি আমাকে উপদেষ্টা হিসেবে না রাখতে চান তাহলে অবশ্যই কারণ দর্শিয়ে নোটিশ দিতে হবে অর্থাৎ জবাবদিহিতা থাকতে হবে। এগুলো যদি তিনি মেনে নেন তাহলে অবশ্যই যাব।’