বিএনপির অন্তঃকোন্দলের জেরে অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন দ্বারা এসব হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার (২ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত আন্তসংঘর্ষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দলের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ করছি যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় সময় রাজনৈতিক কারণে হামলার বিরুদ্ধে কথা বলছেন ঠিকই এবং অবাধ্য ও অপরাধী নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার করা হলেও এ ধরনের হিংস্র কার্যকলাপ চলছে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে ও অস্থির করে তুলছে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত ৩০ মার্চ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে স্থানীয় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যকার সংঘর্ষে হামলার শিকার হন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহিরের পিতা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা। এতে তাঁর হাত ভেঙে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ২৪ মার্চ নোয়াখালীর হাতিয়ায় পথসভা ও জনসংযোগের সময়ে স্থানীয় বিএনপির কতিপয় সদস্যের দ্বারা এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এনসিপির কর্মী-সংগঠকদের নিয়মিত হুমকিধমকি প্রদান করে যাচ্ছে। সাত-আট মাস পর ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিচ্ছে তারা। সাত-আট মাস পর স্থানীয় বিএনপির হাতে ঠিক কোন ধরনের বাস্তবতা তৈরি হবে, যার দরুন তারা ‘দেখে নিতে’ পারবে, তা এনসিপির বোধগম্য নয়।’