মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নেওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহবাগ মোড়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজা ও হামলার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে পল্টন থানায়।
শাহবাগ থানার মামলায় ৫ হাজার এবং পল্টন থানার মামলায় ১৫০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে পল্টন থানার মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শাহবাগ থানার মামলায় চারজনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি ও সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ, সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) কে এন রায় নিয়তি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেছে।
শাহবাগ থানায় মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিএসএমএমইউর ভেতরে এবং শাহবাগে ১৪ আগস্ট রাত থেকে শুরু করে ১৫ আগস্ট ভোর পর্যন্ত চলা জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় চারজনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজারজনকে আসামি করা হয়েছে। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. জব্বার বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
এদিকে পল্টন থানার মামলাটির বাদী হয়েছেন পল্টন থানার উপপরিদর্শক সালাহ উদ্দিন কাদের।