হোম > রাজনীতি

ঢাবি ছাত্রদলের আলোচনা

মানবাধিকারের পক্ষে আগামীতেও লড়াই করার প্রত্যয়

ঢাবি প্রতিনিধি

আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০: ০০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন প্রাঙ্গণের ঐতিহাসিক বটতলায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা আয়োজিত মুক্ত আলোচনায় আওয়ামী লীগ আমলের সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরে ভবিষ্যতে মানবাধিকারের পক্ষে লড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন প্রাঙ্গণের ঐতিহাসিক বটতলায় এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের মানবাধিকার ভাবনা ও ছাত্রসমাজের ভূমিকা’-শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নেতা নুরুল আমিন বেপারী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহমিনা রুশদি লুনা, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বিএনপির মানবাধিকার সেলের সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল, ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূইয়া, সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রমুখ।

তাহমিনা রুশদি লুনা বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ মানবাধিকার কমিশন গঠন করেছিল। কিন্তু কমিশনের কাউকে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। উল্টো যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করত, তারাই মামলা-হয়রানির শিকার হতো। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠন হয়েছে, এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা বেশি ছিল। যারা গুম হয়েছে তাদের খুঁজে পাব—এমন প্রত্যাশা ছিল।

নুরুল আমিন বেপারী বলেন, ‘আমি ভয় পেতাম বিএনপি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কি না। আপনাদের সঙ্গে কথা বলে তারেক রহমান সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নির্বাচনে যাবেন কি না। যেখানে অন্যান্য দল আসন নিয়ে ভাগাভাগি করছিল, তখন তারেক রহমান বিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন।’

মোর্শেদ হাসান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক—কথাটি বলার কারণে শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা হয়েছে, তার মধ্যে দুটি দেশদ্রোহ মামলা। সরকারকে এর বিচার করতে হবে, নয়তো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ হবে। আর ভবিষ্যতে কাউকে যেন এ রকম নির্যাতনের শিকার না হতে হয়।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিকে ইঙ্গিত করে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে তাদের কোনো কর্মসূচি দেখলাম না। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে যদি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, সেখানে অবশ্যই ছাত্রদলের বীরত্বের কথা বলতে হবে। এই সাড়ে ১৫ বছরে ক্যাম্পাসে আমরা কোনো কার্যক্রম করতে পারিনি। ছাত্রলীগের বিচারকে অগ্রাধিকার দিয়ে, বিচার সম্পন্ন করে আমরা অচিরে ডাকসু নির্বাচন চাই।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

সংবিধান সংস্কার নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চে অনৈক্য

জনগণের পকেট কাটার নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: সিপিবি

মাইনাস টুর আশা পূরণ হবে না: আমীর খসরু

স্বৈরাচারের দোসরদের দলে প্রবেশ করালে জনগণ প্রতিরোধ করবে: আসাদুজ্জামান রিপন