হোম > রাজনীতি

মাইনাস টুর আশা পূরণ হবে না: আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২২: ১৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি

‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা নিয়ে গুঞ্জনকে ‘আলোচনার বিষয়’ বলেই মনে করেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘কেউ যদি এটা নিয়ে মনগড়া কথা বলে, এটা তাদের সমস্যা। এখানে মাইনাস টুর কথা যারা বলে, এটা তাদের আশা। এই আশা জীবনে পূরণ হবে না।’

আজ শুক্রবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এদিন ১৬ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের সাত নেতা-কর্মী। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান আমীর খসরু।

মাইনাস টুর গুঞ্জন নিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে এ ধরনের আলোচনারই প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’

বিএনপির এ শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। এই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হচ্ছেন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশ তাঁদের অপেক্ষায় আছে, থাকবে। এখানে মাইনাস টুর কথা যারা বলে, এটা তাদের আশা। এই আশা জীবনে পূরণ হবে না।’

অতীতেও মাইনাস টুর চেষ্টা করে অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওইটা (মাইনাস টু) এরশাদ পারে নাই, ওয়ান-ইলেভেন পারে নাই। আর এখন তো বিএনপি আজকে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী দল। বিএনপি সবচেয়ে শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে। সুতরাং, ওই সমস্ত মনগড়া কথার কোনো উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আমি মনে করি না।’

এ সময় নির্বাচনকে সংস্কারের প্রথম ধাপ মন্তব্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা (নির্বাচন) দিয়ে শুরু করতে হবে সংস্কার এবং গণতন্ত্রের আন্দোলন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতেই হবে নির্বাচনের মাধ্যমে, এটা প্রথম ধাপ। নির্বাচন হলো প্রথম সংস্কার। এটা দিয়ে শুরু করতে হবে সংস্কার এবং গণতন্ত্রের আন্দোলন। যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা, সেটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে আগামী দিনে।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা নেতা-কর্মীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই লোকগুলো গত ১৬ বছর যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ফ্যাসিস্টবিরোধী-স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন। তাঁরা হোয়াইট হাউসের সামনে, ক্যাপিটাল হিলে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়েছেন। তাঁর সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করেছেন, তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়েছেন। দেশে এঁদের সবার আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। এঁদের অনেকে ব্যবসা হারিয়েছেন, চাকরি হারিয়েছেন। এঁদের পরিবারের অনেক লোক জীবনও দিয়েছেন।’

খসরু বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের কথা বলি, আন্দোলন এক দিনে হয়নি। এই আন্দোলনে গত ১৫-১৬ বছর কত লোকের ত্যাগ স্বীকার, সেটা অনেকে ভুলে যায়। আমরা শুধু সাম্প্রতিক আন্দোলনের কথা বলি। এই লোকগুলোকে বাদ দিয়ে আন্দোলন হয়নি। এঁরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। যার কারণে এঁদের পরিবারকে বাংলাদেশে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই লোকগুলো ১৬ বছর দেশে আসতে পারেননি। তাঁদের পরিবার, আত্মীয়স্বজনকে দেখতে পাননি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

সংবিধান সংস্কার নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চে অনৈক্য

জনগণের পকেট কাটার নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: সিপিবি

স্বৈরাচারের দোসরদের দলে প্রবেশ করালে জনগণ প্রতিরোধ করবে: আসাদুজ্জামান রিপন