নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কারা নির্বাচিত হবে, কারা কোন রাজনৈতিক দল করবে, এইটা যদি নির্ধারণ করে দেয় তাহলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কি আর মানে থাকল? কি দাম থাকল? শেখ হাসিনাও এই কাজ করেছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে বিরোধী দলগুলোর লোকজনকে ধমক দিতেন, চেষ্টা করতেন বিএনপি থেকে তাদের যেন সরিয়ে দেওয়া যায়। তারা যেন আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে। এই কাজটাই শেখ হাসিনা ১৬ বছর গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে করিয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন আবার শুনছি, গোয়েন্দা সংস্থার লোকরা নাকি একটি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য কাউকে কাউকে সমর্থন দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তারা কাজ করছে। এই ঘটনা কিন্তু দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ যেভাবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় সেভাবে গঠন করবে, এখানে কোন নির্দেশনা, এখানে কোন হুমকি, এখানে রাষ্ট্রের কোন খবরদারি থাকবে না। এটাই হচ্ছে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের মতো, এরশাদের মতো, শেখ হাসিনার মতো একই সংস্কৃতির যদি পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে তো মানুষ মনে করবে আরেকটি ফ্যাসিবাদ তৈরির প্রচেষ্টা চলছে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপিকে ভাঙার জন্য এ সরকারের ভেতরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কি না, তাদের অন্তরের ভেতরে ক্রিয়াশীল আছে কিনা, তা নিয়ে জনগণের ভেতরে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।’
সচিবালয়ে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘সরকার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চাওয়ার পর গভীর রাতে সচিবালয়ে আগুন লেগেছে, এতে জনমনে বিরাট প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কালাকানুনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অনেক দলের আত্মত্যাগ অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের তৈরি আইনের সঙ্গে সাইবার সুরক্ষা আইনের কোনো পার্থক্য নেই। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের যে রুটটি দেখছি, তাতে ভালো কিছু নেই।’