নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘হয়রানিমূলক মামলায় রাজবন্দী ও ধর্মীয় নেতাদের দীর্ঘ কারাবাস: নাগরিক সমাজের উদ্বেগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। গণ মতামত কেন্দ্র এই সভার আয়োজন করে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আপনাদের ওপর আমার রাগ আছে। আপনারা এখানে ঘরের মধ্যে বসে মিটিং করেন। আমরা বেশ কয়েকবার বলেছি, চলেন না হাজার দশেক লোক নিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও করি। আমার প্রস্তাব হচ্ছে দুই দিনের মধ্যে যদি তাদের সবার জামিন না হয়, আমরা সবাই ঘেরাও করে থাকব। ওদের মুক্তি না হলে হাইকোর্টে ঈদের জামাত হবে না। আমরাই ওইখানে মাঠ দখল করে বসে থাকব।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আজকে আমাদের একটা মাত্র দাবি, দুই দিনের মধ্যে আলেমসহ সব রাজনৈতিক কর্মীসহ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। হাজি সেলিমকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু দেখতে দিতে পারেন না।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘জিনিসপত্রের যে দাম বেড়েছে, ১০ তারিখ কী আমরা ঈদ করতে পারব? কিছু লোক করবে কিন্তু বেশির ভাগ লোকের মুখে হাসি থাকবে না। আমার বাচ্চাটার জন্য কাপড় কিনতে পারব না। সেমাই বানাতে পারব না। মাংস পাব না। এখন তো ভাগের মাংসও পাওয়া যায় না।’
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক বলেন, ‘আমরা সবাই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই বলে আমাদের এখানে ভারতের মতো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয় না। এর কৃতিত্ব বাংলাদেশের মানুষের। আওয়ামী লীগের না।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ।